কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। শূক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে উখিয়ার পালংখালী বাজার এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। এতে কোন ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় এলাকাবাসীর সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন একটি কুলিং কর্ণারের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকান্ডে ২টি দর্জি দোকান, একটি কুলিং কর্ণার, ২টি ফার্মেসী, ১টি চাউলের দোকান ও ১টি মুদির দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা কোন মালামাল বের করতে পারেনি। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানার তদন্ত ওসি মোঃ কাই কিশুলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নেওয়া হয়েছে বলে উখিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন। আগুনের খবর পেয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের ২টি ইউনিট ১ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা হলেন, নুরুল আলম, বেলাল খলিবা, গিয়াস খলিবা, বশর, মাবুদ মেম্বারের জামাইর দোকান। পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা ও চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। পালংখালী ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল হোসেন অগ্নিকান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। উখিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, অগ্নি কান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
####################
৫২ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ফেরৎ
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
উখিয়ার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন বিজিবির হাতে আটক হলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গারা কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। চলিত মে, মাসে ৩৫৩ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটক করে স্বদেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বলে ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিক করেছেন। গতকাল শূক্রবার সকালে তুমব্র“ সীমান্তবর্তী বেতবুনিয়া বাজার এলাকায় বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৫২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। দুপুরে মানবিক সহায়তা দিয়ে স্বদেশে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন, মহিলা ১৭ জন।
##############
উখিয়ার সীমান্তে বিদেশী মদ উদ্ধার
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::
১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন তুমব্র“ বিওপির টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৫ বোতল কান্ট্রি ড্রাইজিন জব্দ করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা কাউকে আটক করতে পারেনি। জব্দকৃত মদের মূল্য ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা বলে বিজিবি জানিয়েছেন। ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিজিবি সদস্যরা টহলদান কালে পরিত্যক্ত অবস্থায় মদ জব্দ করেন।
##############
রাজাপালং ইউপির বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজীবের গণসংযোগ
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::
পুরুষদের পাশাপাশি নারী ভোটারদের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী তারেক মাহমুদ চৌধুরী রাজিব। মাত্র কয়েক মাস পুর্বে সে তার সেই জনম দুখীনি মমতাময়ী মা’কে হারিয়েছেন। চার দেউয়ালে বন্দি ছিল তার জীবন। রাজাপালং ইউনিয়নের চার চার বারের ইউপি চেয়ারম্যান চাচা শাহকামাল চৌধুরী অসুস্থতার কারণে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই মা হারানোর বেদনায় কাতর নিষ্পাপ ছেলেটি নিতে হয়েছে হিমালয় পাহাড়ের দায়িত্ব। বৃহত্তর রাজাপালং ইউনিয়নে বিএনপি’র মনোনীত ধানের শীষের একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিটি মাঠে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়ায়-মহল্লায়, অলিতে-গলিতে গণ সংযোগ করে যাচ্ছেন রাজীব। তবে তার পিতা কক্সবাজার জেলা বিএনপি’র সভাপতি, সাবেক উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর রয়েছেন বিশাল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। এবং রাজ পরিবারের সেই ঐতিহ্য এখনো আছেন কানায় কানায় ভরা। পাশাপাশি রাজীবের মেঝ চাচা শাহ জালাল চৌধুরী উখিয়া উপজেলার একজন সফল সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে উখিয়াবাসীর কাছে সমাদৃত। আর একদম ছোট চাচা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরীর জনপ্রিয়তা আকাঁশ চুম্বি। সব মিলিয়ে তার একটি বিশাল জনসমর্থন এবং পরিচিতি রয়েছে মানুষের কাছে। রাজীব বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় গণসংযোগ করতে বের হলে উখিয়া স্টেশনে দেখা হয় এক হত দরিদ্র মহিলা ভোটারের সাথে। নাম তার ছখিনা বিবি। সে কেন জানিনা এ প্রতিবেদকের সামনে রাজীবকে দীর্ঘক্ষণ চেয়ে থাকার পর আবেগ-আপ্লুত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঝড়িয়ে ধরলেন বুকে। কাটলেন অশ্রু জ্বলে। তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন চেয়ারম্যানপ্রার্থী রাজীবও। হারানো মায়ের স্মৃতিময়ী সেই কথা গুলো নাড়া দিল তার বুকে। কান্না আর ধরে রাখতে পারলেন না রাজিব। কানছেন একই তালে। দেখতে লাগল শতশত দর্শক নিরবে। ওই মহিলাটি দোয়া করলেন রাজীবকে পিতার মতো বেড়ে উঠতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মহিলাটির কাছে এত কিসের ব্যথা, কেউ জানেনা। রাখেনি কেউ এসব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের খবর। কিন্তু রাজীব কি রাখবে তাদের খবর?
পাঠকের মতামত: